মিয়ানমার থেকে পালিয়ে নৌকায় করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ঢেউ ও ঝড়ের কবলে পড়ে দুটি রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মরদেহউদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে গতকাল মঙ্গলবার ১৪ জন ও আজ বুধবার ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। এর

তাদের মধ্যে ১৩ জন নারী, ১৫ জন শিশু ও ৩ জন পুরুষ রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী।

আদনান চৌধুরী বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে লাশগুলো উদ্ধারের খবর জেনেছেন। এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে লাশগুলো দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জানান, মঙ্গলবার ও বুধবার ভোররাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া ও রাজারছড়া পয়েন্ট এলাকায় রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকা ডুবে যায়। এতে কয়েকজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বেশির ভাগ যাত্রী সাগরে তলিয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাফনদী ও সাগর তীরবর্তী এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে রাতের আধাঁরে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে পৃথক ঘটনায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। ওইসব ঘটনায় নিখোঁজ থাকা নারী, পুরুষ ও শিশুর মরদেহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ভেসে আসছে।

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে টহল এবং নজরদারি জোরদার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। বুধবার দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাব্বির আলম সুজন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষিতে সীমান্ত নিরাপত্তায় কঠোর নজরদারি বজায় রেখেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। চলমান পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে নাফ নদী ও সেন্টমার্টিন এলাকায় যেকোনো প্রকার অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে উপকূলীয় অঞ্চলে টহল জোরদার করা হয়েছে। সমুদ্রে সার্বক্ষণিক টহল জাহাজ মোতায়েনসহ নিয়মিত হাই স্পীড বোটের মাধ্যমে টহল পরিচালনা করছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।

এদিকে গত ৩ দিন ধরে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানান স্থানীয়রা। তারা জানান, বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে নৌকা যোগে অনুপ্রবেশ করা অনেকেই কৌশলে ক্যাম্পে প্রবেশ করলেও বিজিবি সদস্যরা কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আটক করেছে। তাদের বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে।